করোনায় শিশুদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে করণীয়

 

করোনায় শিশুদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে করণীয়










মহামারি এসে বদলে দিয়েছে সবকিছু। স্বাভাবিক জীবনযাপন ও চলাচলের জন্য যে অনুষঙ্গগুলো আমরা জন্মের পর থেকে চর্চা করে এসেছি তার অনেককিছুই থেমে গেছে কিংবা বদলে গেছে এই মহামারিতে। শিশুদের ক্ষেত্রেও ঘটেনি এর ব্যতিক্রম। করোনাভাইরাসে যেহেতু শিশুরাও আক্রান্ত হয় এবং তাদের মাধ্যমে পরিবারের অন্যদেরও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই শিশুদের জন্যও রয়েছে বেশকিছু সতর্কতা। তবে শিশুরা যেহেতু নিজে থেকেই অনেককিছু করতে পারে না, তাই তাদের জন্য বড়দের যেমন সচেতন থাকতে হবে তেমনি তাদেরকে বেশ কিছু বিষয়ে অভ্যস্তও করতে হবে।

এ বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলুন দেখে নেওয়া যাক কী আছে সেখানে-

অভয় দিন: আপনার শিশুদের করোনা মহামারি সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য জানান। কিন্তু তার সঙ্গে এও বলুন যে, আপনি তার সঙ্গে আছেন, তাকে আপনি নিরাপদে রাখবেন। কোভিড-১১ এ আক্রান্ত হবার ঝুঁকি শিশুদের সবচেয়ে কম এটা তাকে জানাতে পারেন।

শিশুদের ক্ষমতায়ন: শিশুদের সুযোগ দিন তারা যেন অন্যদের যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব বুঝতে পারে, সমাজের বাকি মানুষদের কথা চিন্তা করতে পারে। তাদের এই কাজগুলি করার জন্য উৎসাহ দেয়া যেতে পারে – স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লেখা, বয়স্ক প্রতিবেশী/আত্মীয়দের ফোনে খোঁজ খবর নেয়া, সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

নিজে শান্ত থাকুন: এই পরিস্থিতিতে নিজে স্থির থাকুন, নিজের যত্ন নিন। মনে রাখবেন, শিশু কিন্তু আপনার আচরণকে অনুকরণ করবে।

শিশুদের ব্যস্ত রাখুন: নিজের সন্তানদের সঙ্গে গুণগত সময় কাটানোর এটা একটা বড় সুযোগ। শিশুদের সঙ্গে খেলুন (লুডু, ক্যারম), তাদের ঘরের কাজ শেখান, একসঙ্গে সিনেমা দেখুন, রান্না করুন, গাছের যত্ন নিন।

শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন: তাদের প্রশ্ন করতে দিন, তাদের অনুভূতি এবং এই মহামারি তাদের কতটা বিপর্যস্ত করেছে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন। সব প্রশ্নের উত্তর যে দিতেই হবে এমনটা নয় কিন্তু তাদের কথা মন দিয়ে শোনাটা জরুরি। তাদেরকে এই সুযোগে কিছু শ্বাসের ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম শেখাতে পারেন।

সতর্ক থাকুন: অতিরিক্ত মিডিয়া ব্যবহার (খবরের কাগজ, টিভি নিউজ) এ সময় বাচ্চাদের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে এবং তারা অনেক ভুল তথ্য ও পেতে পারে। এ সময় শিশু-কিশোরদের স্মার্ট ফোন, ট্যাব, টিভি, কম্পিউটার ব্যবহার সীমিত রাখুন।

অভ্যাস করান: তাদের হাত ধোয়া, হাঁচি কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, বার বার মুখে হাত না দেওয়া এসব ভাল অভ্যাস রপ্ত করতে সাহায্য করুন।

রুটিন মেনে চলা: যথাসম্ভব তাদের রুটিনের ভেতর রাখার চেষ্টা করুন। খাওয়া, ঘুম, হালকা ব্যায়াম, পড়তে বসা এসব সময়মত করুন। তাদের মাঝে মাঝে বারান্দায়/ছাদে নিয়ে যেতে পারেন।



২০২০ সালের মার্চে মহামারির শুরুর পর থেকে বিগত সময়ে একাধিকবার মহামারির প্রকোপ বেড়েছে ও কমেছে। মহামারির প্রকোপ কমে গেলে শিশুদের ঘরের বাইরে খেলাধুলার বিষয়ে উৎসাহিত করুন। তাদের বলুন অন্যদের সঙ্গে মিশতে, কথা বলতে। তা না হলে তাদের সামাজিকীকরণ ও মানসিক বিকাশে বাধা তৈরি হতে পারে। তবে ঘরের বাইরে যা-ই করুক না কেন, আপনার শিশু যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টিকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলে সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। কারণ করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য অনেক রোগ-জীবাণু থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url